Become a News Creator

Your local stories, Your voice

Follow us on
Download App fromplay-storeapp-store
Advertisement
Back
Kolkata700073
बंगाल की बाढ़ राहत के बीच ममता बनर्जी पर तीखा राजनीतिक हमला
MCMoumita Chakraborty
Oct 06, 2025 08:49:38
Kolkata, West Bengal
Failed Chief Minister Smt. Mamata Banerjee, who, even after receiving news yesterday of the catastrophic devastation in North Bengal and the tragic loss of many lives, was seen celebrating on the Carnival stage at Red Road, has clearly shown how fearful she has become of the BJP West Bengal workers and leaders who have been tirelessly conducting rescue and relief operations on the ground since yesterday. Today in Nagrakata, while BJP MP Shri @khagen_murmu and @ShankarGhoshBJP, MLA and the chief opposition whip in the West Bengal Assembly were inspecting flood-affected areas and distributing relief, they were brutally attacked in the presence of the Mamata-police. Chief Minister @MamataOfficial, the people of Bengal will never forget this cowardice and shamelessness. From yesterday until today, the people of Bengal will punish every one of your immoral and inhuman acts of brutality. Shame!
2
comment0
Report

For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com

Advertisement
BSBhabananda Singha
Oct 06, 2025 12:34:32
Dinajpur, Rangpur Division:লক্ষী পুজাতেই টেনোহরি গ্রামের শারদোৎসবের আসল উচ্ছ্বাস রায়গঞ্জের শস্য ভাণ্ডার টেনোহরি গ্রাম যেন মা লক্ষীর আশীর্বাদে ধন্য। মা লক্ষীর আশীর্বাদেই এখানকার মাটিতে নাকি সোনা ফলে—এমনটাই বিশ্বাস স্থানীয়দের। আর সেই বিশ্বাস থেকেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ধুমধাম করে পালিত হয় লক্ষী পুজো। দুর্গা পুজো নয়, এই গ্রামে শারদোৎসবের মূল আকর্ষণ লক্ষী-pujaই। গ্রামের দাসপাড়া, স্কুলপাড়া-সহ বিভিন্ন পাড়ায় দেখা যায় একই দৃশ্য। কাঠামোর উপর বিশাল আকৃতির লক্ষী প্রতিমা এনে পুজো করা হয়। কোথাও কোথাও থাকে লক্ষীর সাথে নারায়ণের মুর্তি। প্যান্ডেল, আলোর রোশনাই, মাইক ও সাউন্ডবক্সে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম। পূর্ববঙ্গ থেকে চলে আসা এই ঐতিহ্য আজও অটুট। স্থানীয়দের ধারণা, মা লক্ষীর আশীর্বাদেই ক্ষেত ভরে ওঠে ধান, গম, ভুট্টা থেকে শুরু করে শাকসবজি, লাউ, পটল, কফি, শসাসহ নানা ফসলে। অন্য এলাকা থেকে কেউ এলে অবাক না হয়ে পারেন না। ইটাহারের দুর্গাপুর থেকে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়ে আসা মুনাই দেবদুতি দাস জানান, “প্রথম বছর এসে দেখেছিলাম বাড়িতে বাড়িতে কত বড় করে লক্ষী পুজো হয়, অবাক হয়েছিলাম। এখন এই উৎসবই আমার সবচেয়ে প্রিয়।” বয়স্ক গৃহবধূ লিপিকা দাস বলেন, “বিয়ের পর থেকে শাশুড়িকে দেখে শিখেছি। এখনও সেই নিয়ম মেনে পুজো করি। তিলের নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, মুড়কি, মোয়া করতেই হবে। খিচুড়ি খাওয়া শুরু হয় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রচুর মানুষ আসেন প্রতিমা দেখতে, খিচুড়ি খান, আনন্দে মেতে ওঠেন।” গ্রামের প্রবীণ শঙ্কর চন্দ্র দাস জানান, “বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে এভাবেই লক্ষী পুজো করে আসছি আমরা। মা লক্ষীর আশীর্বাদেই ক্ষেতের ফসল ভরে ওঠে। এই বিশ্বাসই টেনোহরিকে করেছে শস্য ভাণ্ডার।” পুজো শেষে বুধবারে গ্রামের স্কুল মাঠে বসবে বার্ষিক মেলা। প্রায় ৫৭ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে, বছরের পর বছর ধরে টেনোহরি গ্রাম লক্ষী পুজোকেই কেন্দ্র করে শারদোৎসবে মেতে উঠেছে—এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।
0
comment0
Report
SRSanjoy Rajbanshi
Oct 06, 2025 12:34:17
Kalna, West Bengal:ধর্মের বেড়া ভেঙে মা লক্ষী পূজার উৎসবে মেতে উঠলো কালনার ধর্মডাঙা গ্রামের হিন্দু ও মুসলিমরা, পুজোর প্রস্তুতিতে যোগ দিয়েছেন তন্ময়, বাপন, সুশান্তদের সঙ্গে গ্রামেরই বাসিন্দা আবু, ইরফান, ইনসানরা।গ্রামের নাম ধর্মডাঙা। তবে ধর্মের চেয়ে এখানে উৎসবকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন গ্রামের মানুষ। দূর্গা পূজা নই, গ্রামের প্রধান উৎসব লক্ষ্মীপুজো। সেই পুজোয় শুধু হিন্দুরা নন সামিল হন মুসলমানরাও। পুজোকে প্রস্তুতিতে তন্ময়, বাপন, সুশান্তদের সঙ্গে যোগ দেন গ্রামেরই বাসিন্দা আবু, ইরফান, ইনসানরা। কালনা শহর লাগোয়া ধর্মডাঙা গ্রামে এটাই দীর্ঘদিনের পরম্পরা, যেখানে লক্ষ্মীপুজোয় যেমন সক্রিয় ভাবে অংশ নেন মুসলমানরা তেমনই ঈদে অংশ নেন হিন্দুরা।দুর্গা বা সরস্বতী নয়, ধর্মডাঙায় লক্ষ্মীপুজোই বড় উৎসব। পুজো চলে চার দিন ধরে। পুজোর আগের দিন থেকেই সাজো সাজো রব গ্রামে। প্রতি বাড়িতে চলে আসেন আত্মীয়রা। গ্রামের স্কুলের সামনে পুজো পল্লিশ্রী সঙ্ঘের। এ বার প্রতিমার উচ্চতা ১৫ ফুটের মতো। এ বছর তাদের পূজো ৪২ তম বর্ষে পদার্পণ করল।মণ্ডপ তৈরিতে হাত মেলান আবু শেখ, ইনসান শেখরা। পুজোর ওই চার দিন তাঁদের সকলেরই ঠিকানা লক্ষ্মীমণ্ডপ। একসঙ্গে পাত পेড়ে খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবেতেই সামিল হন তাঁরা। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে ঠাকুর আনা সমস্ততেই হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করি। ক্লাবের সেক্রেটারি তন্ময় দাস তিনি বলেন এখানে হিন্দু-মুসলিম একত্রিতেই আমরা পুজো করে থাকি। আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। বাইট এক - তন্ময় দাস (গ্রামবাসী ) বাইট দুই - ইনশান শেখ (গ্রামবাসী) বাইট তিন - আবু শেখ (গ্রামবাসী) ছবি 2C তে 61025-KLN-SAMPRITI-R
0
comment0
Report
BSBidhan Sarkar
Oct 06, 2025 11:15:43
Chinsurah, West Bengal:ছত্তিসগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট থেকে ফেরার সময় পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু চারজন পর্যটক সহ পাঁচজনের।তারা হুগলির একটি স্কুলের শিক্ষিকা ও তাদের পরিবার বলে জানা গেছে。 ডানকুনি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকা তাদের সন্তানদের নিয়ে পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।গতকাল বিকালে ছত্তিসগড়ের কানহা ন্যাশনাল ফরেস্ট ঘুরে বিলাসপুর স্টেশন যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কে তাদের এসইউভি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।গাড়িতে চালক সহ মোট দশজন ছিলেন।তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে。 বাকিদের চিকিৎসা চলছে সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।বাই শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মুনমুন বাগ আর তার ছেলে ছিলেন পর্যটক দলে।মুনমুন ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাশ্রম স্কুলের শিক্ষিকা। তার স্বামী দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেন。 হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে ওই স্কুল।সুবীর বাবু স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেন।হুগলি ডিআই এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক(উন্নয়ন) এর sঙ্গেও কথা বলে দূর্ঘটনায় পড়া শিক্ষিকাদের সব রকম সাহায্যের কথা জানান。 শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন,খুবই মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনা।ডানকুনি স্কুলের শিক্ষিকারা যেমন ছিলেন এই স্কুলে আগে ছিলেন বর্তমানে কলকাতার এক স্কুলে চলে যাওয়া এক শিক্ষিকাও তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে শুনেছি।ছত্তিসগড়ে যে কোনো রকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের সাংসদ আছেন তিনিও সব রকম ব্যবস্থা করবেন。
0
comment0
Report
BMBiswajit Mitra
Oct 06, 2025 11:02:30
Ranaghat, West Bengal:লক্ষ্মীই এখানে ‘দুর্গা’! চাকদাহে চার দিনের ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপূজো নদিয়া জেলার চাকদাহ ব্লকের হিংনারা, বল্লভপুর, দরাপপুর, হরিআঁখি ও দেউলীর মতো গ্রামে দুর্গাপুজোর জাঁকজমক নেই, কিন্তু লক্ষ্মীপূজোই এখানে বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। পূর্ববঙ্গ, বিশেষ করে ঢাকা জেলা থেকে আসা মানুষের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পরব আজও বহন করে সেই ঐতিহ্য। প্রায় ৮০ বছরের পুরনো এই পুজো ঘিরে এখন পুরো অঞ্চল জেগে থাকে চার দিন ধরে। প্রতিমা, আলোকসজ্জা, ঢাক, প্রসাদ—সব মিলিয়ে এক গৃহদেবীর মহোৎসব। বিজয়ার মতোই হয় লক্ষ্মী নিরঞ্জন। পুজোর সংখ্যা ১০০-রও বেশি! ব্যবসায়ী পরিবারগুলির কাছে লক্ষ্মী কেবল দেবী নন, তিনি জীবনের অংশ। তাই এই পূজোর আয়োজনেও থাকে এক অন্যরকম আন্তরিকতা। স্থানীয় সংস্কৃতি আর পূর্ববঙ্গের রীতিনীতির অপূর্ব মেলবন্ধন এই লক্ষ্মীপূজো।
0
comment0
Report
BMBiswajit Mitra
Oct 06, 2025 11:02:13
Ranaghat, West Bengal:লক্ষ্মীই এখানে ‘দুর্গা’! চাকদাহে চার দিনের ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মীপূজো নদিয়া জেলার চাকদাহ ব্লকের হিংনারা, বল্লভপুর, দরাপপুর, হরিআঁখি ও দেউলীর মতো গ্রামে দুর্গাপুজোর জাঁকজমক নেই, কিন্তু লক্ষ্মীপূজোই এখানে year's সবচেয়ে বড় উৎসব। পূর্ববঙ্গ, বিশেষ করে ঢাকা জেলা থেকে আসা মানুষের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পরব আজও বহন করে সেই ঐতিহ্য。 প্রায় ৮০ বছরের পুরনো এই পুজো ঘিরে এখন পুরো অঞ্চল জেগে থাকে চার দিন ধরে। প্রতিমা, আলোকসজ্জা, ঢাক, প্রসাদ—সব মিলিয়ে এক গৃহদেবীর মহোৎসব। বিজয়ার মতোই হয় লক্ষ্মী নিরঞ্জন। পুজোর সংখ্যা ১০০-রও বেশি! ব্যবসায়ী পরিবারগুলির কাছে লক্ষ্মী কেবল দেবী নন, তিনি জীবনের অংশ। তাই এই পূজোর আয়োজনেও থাকে এক অন্যরকম আন্তরিকতা। স্থানীয় সংস্কৃতি আর পূর্ববঙ্গের রীতিনীতির অপূর্ব মেলবন্ধন এই লক্ষ্মীপূজো。
0
comment0
Report
MCMoumita Chakraborty
Oct 06, 2025 08:51:05
Kolkata, West Bengal:BJP Guest at 5:25pm
0
comment0
Report
TCTathagata Chakraborty
Oct 06, 2025 08:50:44
Baruipur, West Bengal:বাংলাদেশি যুবক সুজন মোল্লা গ্রেফতার, ভুয়ো নথি বানিয়ে বারুইপুরে বছরের পর বছর বসবাসের অভিযোগ বারুইপুর : বারুইপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করল এক বাংলাদেশি নাগরিককে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ সুজন মোল্লা। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে সে। তারপর থেকেই বারুইপুরের চম্পাহাটি সোল গোয়ালিয়া এলাকায় ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছিল। অভিযোগ, স্থানীয় আলমগীর মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে নিজের ‘বাবা’ হিসেবে দেখিয়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমনকি প্যান কার্ডও তৈরি করে ফেলে সুজন। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ইন্টারন্যাশনাল প Pasportও। মনে করা হচ্ছে, এই নথিগুলো ব্যবহার করেই সে সীমান্ত পারাপার করত। শুধু তাই নয়, সুজন নাকি ছিনতাইচক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। পুলিশের দাবি, বাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে সেগুলি বাংলাদেশে পাচার করা ছিল তার নিত্যকার কাজ। এই ঘটনায় শুধু সুজন নয়, তাকে সাহায্য করার অভিযোগে আলমগীর মোল্লাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুটি মোবাইল, একাধিক ভুয়ো নথি ও পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানা। কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সে এখানে ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
0
comment0
Report
AGAyan Ghosal
Oct 06, 2025 08:50:07
Kolkata, West Bengal:বিপর্যস্ত অবস্থা। হোটেলে পানীয় জলের অভাবে খাবারের টান পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এর মধ্যে প্রকৃতির তাণ্ডব সারারাত চলেছে। কারেন্ট নেই। আতঙ্কের প্রহর গুনে অবশেষে পাহাড় থেকে সমতলের দিকে যাত্রা শুরু। সেই যাত্রাপথ খুব মসৃণ নয়; অনেক রাস্তা বন্ধ। নানাদিক ঘুরে ঘুরে অবশেষে সমতলে নেমে স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছান যেন একটা যুদ্ধ। তারপর ট্রেন ধরা। সেই ট্রেন পাক্কা ৬ ঘণ্টা লেট হয়ে অবশেষে বেলা ১২ টায় ঢুকল শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। সেই অভিজ্ঞতা জি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে শেয়ার করলেন উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে ফেরা পর্যটকরা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার যাবো, কারণ পাহাড় ভালোবাসি। এমনও বললেন কেউ কেউ。
0
comment0
Report
AGAyan Ghosal
Oct 06, 2025 08:49:57
Kolkata, West Bengal:ভক্তির পুজো? নিষ্ঠার পুজো? আনন্দের পুজো? উৎসবের পুজো? নাকি অর্থনীতির পুজো? দুর্গাপুজোয় বিপুল টার্ন ওভার বা আর্থিক লেনদেনের অঙ্ক চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। ৬৫ হাজার কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য শুনতে লাগলেও এটাই ঘটেছে। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব একধাক্কায় বাংলার জিডিপি বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২০ এবং ২০২১ সালের কোভিড। তারপর ২০২৪ সালের জাস্টিস ফর আর জি কর এপিসোড কাটিয়ে ২০২৫ সালের দুর্গাপুজোয় বিপুল লক্ষী লাভ। পুজোকে কেন্দ্র করে আবর্তিত অর্থনীতি পৌঁছে গেছে রেকর্ড ব্রেকিং উচ্চতায়. কিভাবে আবর্তিত হয় পুজো অর্থনীতি? যতটা চোখে পড়ে তার থেকে এই আবর্তন প্রায় ১০০০ গুণ বেশি। ১) প্রান্তিক ভাগ চাষী পুজোর তিন মাস আগে চলে আসেন কলকাতায়। মণ্ডপ সজ্জার কাজে হাত লাগান থিম শিল্পীদের সঙ্গে। এই আবর্তনের ভাগিদার তিনি। ২) দর্জিপাড়ার সেই কারিগর যিনি নতুন পোশাক তৈরি করেন অথবা পোশাকের কাঁচামাল সরবরাহ করেন, তিনিও এই আবর্তনের ভাগিদার। ৩) পুজোয় দেশি বিদেশি নাগরিকের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত, ফ্লাইট ভাড়া, হোটেল ভাড়া, ক্যাব ভাড়াও এই ভাবেই আবর্তন হয়। ৪) মৃৎশিল্পীকে সাহায্য করা বা তার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় পারিশ্রমিক এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। ৫) বিজ্ঞাপন সংস্থায় একেবারে নিচুতলার কর্মী থেকে কর্ণধার পর্যন্ত সমস্ত কর্মীর পুজোয় যা রোজগার করেন সেটাও আছে এই তালিকায়। ৬) ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মানুষ দেদার খানাপিনা করে। পাঁচ তারা হোটেল থেকে ফুটপাথের রোল চাউমিন পুরোটা মুড়ি। তারাও তো বাদ নেই। এরকম অজস্র উদাহরণ আছে। তালিকা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে নিছক উৎসবের পর্যায়ে আর পড়েনা বাংলার শারদ সম্ভার। তা নিজেই আস্ত স্বয়ং সম্পূর্ণ একটা অর্থনৈতিক বৃত্ত। যে বৃত্ত আকারে ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। বলছেন উৎসব উপদেষ্টা তথা শহরের খ্যাতনামা পুজো টালা প্রত্যয়ের অন্যতম কর্ণধার ধ্রুবজ্যোতি বসু। বাইট ধ্রুবজ্যোতি বসু। ২০২৩ সালে বালিগঞ্জ সমাজসেবী সংঘ দুর্গা সহায় নামে এক থিম করেছিল। থিমের বিষয়বস্তু ছিল মা দুর্গাকে কেন্দ্র করে সমাজের সর্বস্তরে এই অর্থনৈতিক আবর্তন। স্বভাবতই এবারের পুজোয় টার্ন ওভার পরিসংখানে তারা উচ্ছ্বসিত। বাইট অরিজিৎ মৈত্র। সম্পাদক। বালিগঞ্জ সমাজসেবী সংঘ। বিতর্কও আছে। মধ্য কলকাতার ব্লক বাস্টার পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রধান উদ্যোক্তা দাবি করেছেন ওই ৬৫ হাজার কোরতির মধ্যে যে ৭০ শতাংশ এককভাবে শুধু কলকাতা শহরের কন্ট্রিবিউশন, তার মধ্যে আবার ৭০ ভাগ অবদান শুধুমাত্র তার অপারেশন সিঁদুরের। চিরাচরিত স্টাইলে পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষের অনুযোগ, পুলিশ যদি এই পুজোয় ঢোকার ৩০০ মিটার রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বাড়িয়ে ৩ কিলোমিটার করে না দিত, তাহলে এই পুজো দেখার পর অতিরিক্ত ক্লান্ত না হয়ে মানুষ অন্যান্য দুই একটা পুজো দেখত। তার জেরে সেই পুজো মণ্ডপের সামনে বসা ফুচকা ঝালমুড়ি বিক্রেতারা আরো দু পয়সার মুখ দেখতেন এবং টার্ন ওভার আরো বাড়ত। বাইট সজল ঘোষ। উদ্যোক্তা। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার বিতর্ক ছাড়া বাঙালিকে কল্পনা করা যায়না। তাই বিতর্ক থাকুক বিতর্কের জায়গায়। বাংলার পুজো যেভাবে একটা সমান্তরাল ম Mega ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠছে ক্রমশঃ সেটাই তো অনেকের কাছে সারাবছরের অক্সিজেন।
2
comment0
Report
Dussera 2025
Advertisement
Back to top