১) পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দেশের উত্তর পশ্চিম ভাগে শীতল হাওয়ার যোগানে সামান্য ভাঁটা পড়ায় বঙ্গে পরশুর তুলনায় গতকাল রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীত প্রেমীদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আজ রাত থেকে ১৯ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত গোটা দেশে প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে শৈত্য বলয় জার। সপ্তাহান্তে কলকাতার রাতের পারদ নামতে পারে ১৪ ডিগ্রিতে। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। ২) আগামী সাতদিন শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা আরো কমবে। সকালে শিশির এবং মাঝারি কুয়াশা। পরে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। শুক্রবার শনিবার সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দৃশ্যমানতা দু এক জায়গায় ২০০ মিটার পর্যন্ত নামতে পারে। উপকূলের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ৩) উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সকালে হালকা কুয়াশা পরে পরিষ্কার আকাশ। দার্জিলিঙ্গে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে তাপমাত্রা। মালদায় ১৬ ডিগ্রির ঘরে পারদ। আগামী ৪/৫ দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। ৪) ঘূর্ণিঝড় দেতোয়া (DITWAH) শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত। তামিলনাড়ু উপকূলের এই নিম্নচাপ থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত যেটি কর্ণাটক কেরলের উপর দিয়ে গেছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে যার সঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পাকিস্তান ও সংলগ্ন জম্মু কাশ্মীর এলাকায়। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও ত্রিপুরাতে। নতুন করে প্রভাবশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে আজ পাঁচই ডিসেম্বর। ৫) ১৫ থেকে বেড়ে রাতের পারদ ফের ১৭ ডিগ্রির ঘরে। তবে এই উত্থান সাময়িক। সপ্তাহান্তে পারদ পতন অনিবার্য। জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সকালে হালকা কুয়াশা। পরে পরিষ্কার আকাশ। শুষ্ক আবহাওয়া আগামী সাতদিন। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। সকাল-সন্ধ্যে শীতের আমেজ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে। ৬) শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লিতে। পাঞ্জাব হরিয়ানা চন্ডিগড় এবং রাজস্থানে শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা হিমাচল প্রদেশে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম মেঘালয় নাগাল্যান্ড মিজোরাম ত্রিপুরাতেও ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশা থাকবে ওড়িশাতেও। ভারী বৃষ্টি হবে কেরল মাহে, কর্ণাটক তামিলনাড়ু পন্ডিচেরি এবং করাইকালেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।