Back
मेस्सी के भारत दौरे में हंगामा, टिकट वापसी और कथित गड़बड़ियाँ सामने
DBDebanjan Bandyopadhyay
Dec 16, 2025 05:04:37
Kolkata, West Bengal
*মেসি আপডেট*
*মেসি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার পশ্চিমবঙ্গবাসির পাশে দাঁড়ালেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। নিজের কলমে তিনি লিখেছেন যে যদি মেসির সেদিন এক ঘন্টা থাকার কথা ছিল তাহলে এত তাড়াতাড়ি উনি বেরিয়ে গেলেন কেন? পাশাপাশি লিটল মাস্টার আয়োজক এর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে একই আয়োজক তো ভারতের অন্যান্য রাজ্যে এই ইভেন্ট করল, সেখানে এত সুন্দরভাবে এটা হল। কিভাবে কলকাতায় না হতে পারে। কেবল একজনকে দোষ দেওয়া যায় না সকলেই সমান দোষী।*
এরই মাঝে কাহানি মে টুইস্ট। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের পর সোমবার বিকেলেই ভারত ছাড়ার কথা ছিল মেসির। *সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই তাই জানতেন। কিন্তু রাতে আমেদাবাদে চলে যান এল এম টেন। সেখানে আম্বানি পরিবারের তৈরি করা অভয়ারণ্য জামনগরের বনতারায় তিনি থাকেন। শোনা গিয়েছে যে আম্বানি গোষ্ঠীর তরফে আলাদা করে মেসির ম্যানেজার তার বাবা হরহে মেসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।*
*এরই মাঝে যুবভারতী কাণ্ডে উঠে আসছে শতদ্রুর দুই সহযোগী লালটু দাস এবং সুপ্রিয় দাশগুপ্তের নাম।*
যুবভারতীতে লিয়োনেল মেসির সফরের জন্য শতদ্রুর দত্তের সংস্থার তরফে ‘লিয়াঁজ়ো অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল জনৈক লাল্টু দাসকে। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে তিনতেই যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করেছেন।
মেসির সফর নিয়ে বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে শতদ্রুর সংস্থার একাধিক বৈঠকে হাজির ছিলেন লাল্টু। বিভিন্ন দফতরে শতদ্রুর ‘পোস্টমাস্টার’ হয়ে পৌঁছে দিতেন চিঠিচাপাটিও। কিন্তু খাতায়কলমে তিনি কোথাও নেই। অন্য অনেকের মতোই তিনিও শতদ্রুর ‘স্যাঙাত’।
লাল্টুকে কলকাতা ময়দান চেনে। মেসি সফরের সূত্রের তাঁদের চেনেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। বস্তুত, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে মেসির সফর নিয়ে একাধিক বৈঠকেও তিনি হাজির ছিলেন। মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার লাল্টু নব্বইয়ের দশকে সবুজ-মেরুন জার্সিতে স্টপারে খেলতেন। এখন ডালহৌসি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, শনিবার মাঠে বাড়তি লোক ঢোকার জন্য তিনিই ‘দায়ী’।
সোমবার জী 24 ঘন্টার সঙ্গে কথা বলার সময় লাল্টু মেনে নিয়েছেন যে, বিভিন্ন বৈঠকের ক্ষেত্রে অপেশাদারিত্বের ছাপ ছিল। মেসির অনুষ্ঠান নিয়ে বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে শতদ্রুর সংস্থার একাধিক বৈঠকে লাল্টু উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দফতরে শতদ্রুর ‘পোস্টমাস্টার’ হয়ে পৌঁছে দিয়েছেন চিঠিচাপাটিও। কিন্তু খাতায়কলমে তিনি কোথাও নেই। অথচ তিনি আছেন। নিজেকে ‘শতদ্রুর বন্ধু’ বলে পরিচয় দিয়েছেন লাল্টুকে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার লাল্টু। কলকাতা ময়দানের সঙ্গে জড়িতরা জানাচ্ছেন, সেখানে খানিক বিলাসব্যসনেই সময় কেটেছিল তাঁর। নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেও তাঁর ‘ভাল’ যোগাযোগ। পুলিশ সূত্রের খবর, লাল্টুকেও ডেকে পাঠাতে পারে বিধাননগর কমিশনারেট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, মেসিকে ঘিরে থাকা জটলায় লোক ঢোকানোর অন্যতম ‘হোতা’ তিনিই।
*শতদ্রু দত্তকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা জানেন, তিনি আদতে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’। কিন্তু একইসঙ্গে স্যাঙাত-তন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই স্যাঙাতেরা তাঁকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ বা অভয় দিয়ে থাকেন। সেই স্যাঙাতের তালিকায় যেমন লাল্টু আছেন, তেমনই আছেন আরও কয়েকজন। যুবভারতীর কেলেঙ্কারিতেও সেই স্যাঙাতদের ‘ছায়া’ রয়েছে। সূত্রের খবর, যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাথমিক ভাবে মুম্বইয়ের একটি বড় সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছিলেন শতদ্রু। ওই সংস্থার আন্তর্জাতিক ইভেন্ট পরিচালনার দক্ষতা সুবিদিত। ঠিক সেই কারণেই তাদের পারিশ্রমিকও আকাশছোঁয়া। শতদ্রু যখন অর্থের পরিমাণ নিয়ে দোনামনা করছেন, তখন ওই স্যাঙাতদের কয়েকজন তাঁকে পরামর্শ দেন, রাজ্য সরকার তো যা করার করেই দেবে। বাকিটা ‘স্থানীয় প্রতিভা’ দিয়ে সামলে দেওয়া যাবে।
*মেসির ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’ প্রাথমিক ভাবে ইডেন গার্ডেন্সে হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা বদলে যুবভারতীতে হয়।
ইডেনে মেসির সফর হয়নি আর্থিক কারণে। আয়োজকদের কাছে ‘হোস্টিং ফি’ হিসাবে ২ কোটি টাকা চেয়েছিল সিএবি। পাশাপাশিই ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। কারণ, ইডেন আদতে সেনার সম্পত্তি এবং মেসির সফর একটি ‘বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান’। তাই ফোর্ট উইলিয়ামকে টাকা দিতে হত। কিন্তু ইডেনের জন্য ওই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে রাজি হননি শতদ্রু। ফলে শতদ্রু সহজেই যুবভারতী পেয়ে যান।
ভারত সফরে মেসি চারটি শহরে গেলেও 그의 প্রাথমিক সূচিতে ছিল তিনটি শহর। কলকাতা, মুম্বই এবং নয়াদিল্লি। শেষমুহূর্তে ঢুকে পড়ে হায়দরাবাদ। সূত্রের খবরে, মেসির ভারত সফরের কথা জানতে পেরে তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয় শতদ্রুর সঙ্গে। নির্দিষ্ট পরিমাণ মোটা অর্থের বিনিময়ে শনিবারের সন্ধ্যাটি শতদ্রু বিক্রি করে দেন হায়দরাবাদের জন্য। যে কারণে ভারত সফরে একটিমাত্র দিনেই মেসিকে দু’টি শহরে যেতে হয়েছে। সূচিতে শেষবেলায় হায়দরাবাদ ঢুকে পড়ায় সময়ও কমে যায় কলকাতার। মেসিকেও খানিকটা তাড়াহুড়ো করে শহর ছাড়তে হয়। তার পরের দু’দিনে প্রাথমিক সুচি অনুযায়ী একটি করে শহরেই গিয়েছেন মেসি। মুম্বই ও দিল্লিতে his সফর নির্বিঘ্নে হয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রবেশ-প্রস্থান মিলিয়ে ৭০ মিনিট করে থাকার জন্য চুক্তি হয়েছিল মেসির এজেন্টের সঙ্গে। কলকাতা ছাড়া বাকি তিন শহরেই মেসি চুক্তি অনুযায়ী সময় কাটিয়েছেন।
মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য চড়া মূল্য ধার্য করা হয়েছিল আয়োজকদের তরফে। শনিবার সকালে হায়াত রিজেন্সিতে বসেছিল সেই ছবি তোলার আসর। *চুক্তি ছিল, মোট ২০০ জনের সঙ্গে ছবি তুলবেন মেসি। তবে ২৯৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের অধিকাংশই ছবি তুলতে পারেননি। ৫০ জন অর্থের বিনিময়ে ছবি তোলার জন্য গিয়েছিলেন। মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষেধ ছিল। ছবি তুলেছেন মেসির টিমের চিত্রগ্রাহক। পাশে দাঁড়িয়ে টিমের সদস্যেরা গুনেছেন ক’জনের ছবি তোলা হলো। তাঁদেরাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কিউআরকোড স্ক্যানের মাধ্যমে সেই ছবি পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু যে ৯৬ জন বাদ গিয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ ছবি তোলার বাবদে টাকা দিয়েছিলেন কিনা, সে হিসাব এখনও চলছে।*
*মোট ৭০ মিনিটের প্রস্তাবিত অনুষ্ঠানে দাঁড়ি পড়ে গিয়েছিল ২২ মিনিটেই। যাঁকে দেখতে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে মাঠে যাওয়া, অবাঞ্ছিত জমায়েতের কারণে সেই লিয়োনেল মেসিকে almost দেখা যায়নি। পয়সা উসুল না-হওয়ার মাশুল দিয়েছে শনিবারের যুবভারতী। মাশুল দিচ্ছেন অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তও। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে আপাতত অগ্রাধিকার ‘মাশুল সমীকরণ’। যে টিকিট জলে গিয়েছে, তার জন্য গচ্চা যাওয়া টাকা দর্শকদের ফিরিয়ে দিতো এখন নবান্নের কাছে অগ্রাধিকার তালিকায় এক নম্বরে।
কি ভাবে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তা-ও খতিয়ে দেখা শুরু করেছে নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া খুব একটা জটিল নয়। তবে পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে সেই পদ্ধতি এখনও শুরু করা যায়নি। সেই দিকগুলিই আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে অভ্যস্ত ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলির মতে, দর্শকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি যে তৈরি হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফলে তার পন্থাপদ্ধতিও আয়োজকদের জানাই থাকে। কাজটা তেমন কঠিন নয়। সাধারণত টাকা ফেরানোর জন্য ৯০ দিনের (প্রস্তাবিত শোয়ের দিন থেকে) একটি সময়সীমা থাকে। কিন্তু অত দিনও লাগে না। যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল খাবার ডেলিভারির অ্যাপ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ‘জ়োম্যাটো’-র মাধ্যমে। ফলে টিকিটের অর্থ ওই সংস্থার কাছেই আপাতত গচ্ছিত রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ‘জ়োম্যাটো’-কে টিকিটের টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিলে সেই প্রক্রিয়া চালু হয়ে जाएगा।
‘জ়োম্যাটো’ অবশ্য পুরো টাকা ফেরত দেবে না। ইভেন্ট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত লোকজন জানাচ্ছেন, ওই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে জিএসটি, ‘জ়োম্যাটো’র নিজস্ব ‘ফি’ (টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নেওয়ার বিনিময়ে যে পারিশ্রমিক ওই সংস্থার প্রাপ্য) এবং এই ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে ৪ থেকে ৬ শতাংশ কর নেওয়া হয় (যার কথা সমস্ত অনুষ্ঠানের টিকিটেই সাধারণত লেখা থাকে। বলা থাকে, অনুষ্ঠান না হলেও ওই পরিমাণ অর্থ ফেরতযোগ্য নয়), সেই পরিমাণ অর্থ কেটে নিয়ে। বাকি টাকা আয়োজক শতদ্রুর সংস্থাকে ফিরিয়ে দেবে ‘জ়োম্যাটো’। শতদ্রুর সংস্থা এর পরে সেই টাকা দর্শকদের ফেরত দেবে। কত জনকে টাকা ফেরাতে হতে পারে, সে হিসাবও রাজ্য প্রশাসনের কাছে রয়েছে। শনিবারের অনুষ্ঠানে যুবভারতীর গ্যালারির জন্য ৪৮ হাজারের মতো টিকিট ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে ১৪ হাজার ছিল সৌজন্যমূলক (কমপ্লিমেন্টারি) টিকিট। তার জন্য কোনও পয়সা নেওয়া হয়নি। বাকি ৩৪ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। সেই ৩৪ হাজার দর্শক চাইলে টাকা ফেরত নিতে পারবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।
তবে যুবভারতীতে মেসি-সফরের টিকিটের টাকা ফেরানোর পদ্ধতি জটিল না হলেও প্রক্রিয়াগত একটি সমস্যা রয়ে গিয়েছে। শতদ্রুর সংস্থায় তিনি নিজেই যে হেতু সর্বেসর্বা, সে হেতু তাঁকে ছাড়া ওই প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব নয়। তিনি ছাড়া অন্য কেউ তাঁর সংস্থার হয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী কি না, কে সই করবেন, কে টাকা ফেরানোর আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেবেন, সে সব বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। শতদ্রুর সংস্থাকে যেন অনলাইনে বিক্রি হওয়া টিকেটের কোনও টাকা না পাঠানো হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। যদিও কোনও সংস্থার তরফে সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আজ, মঙ্গলবার ঠান্ডা পানীয়, জল, খাবার সরবরাহকারী এবং ডেকরেটর ও শতদ্রুর সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল এবং তাঁদের তরফে কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না, তা জানতেই এই তলব:*
0
Report
For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com
Advertisement
DSDIBYENDU SARKAR
FollowDec 16, 2025 10:16:050
Report
AMArkodeepto Mukherjee
FollowDec 16, 2025 10:15:20Kolkata, West Bengal:Draft list gets published in ECI website
0
Report
AMArkodeepto Mukherjee
FollowDec 16, 2025 10:15:09Kolkata, West Bengal:Special Observer Subrata Gupta gives exclusive interview.
0
Report
AGAyan Ghosal
FollowDec 16, 2025 10:09:360
Report
ASAyan Sharma
FollowDec 16, 2025 09:34:370
Report
STSrikanta Thakur
FollowDec 16, 2025 09:34:180
Report
SBSoumen Bhattachrya
FollowDec 16, 2025 09:33:580
Report
STSrikanta Thakur
FollowDec 16, 2025 08:52:000
Report
PDPradyut Das
FollowDec 16, 2025 08:51:470
Report
PDPradyut Das
FollowDec 16, 2025 08:51:310
Report
ANArnabangshu Neogi
FollowDec 16, 2025 08:51:140
Report
BSBidhan Sarkar
FollowDec 16, 2025 08:50:470
Report
PDPradyut Das
FollowDec 16, 2025 08:50:350
Report
SBSoumen Bhattachrya
FollowDec 16, 2025 08:49:470
Report
AGAyan Ghosal
FollowDec 16, 2025 08:04:320
Report