
গ্রামে ২ হাজার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ: ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশার আলো
গ্রামে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেওয়া হল ২হাজার ত্রাণ সামগ্রী। সেগুলিকে আজ ব্লক নেতৃত্ব হাতে তুলে দেওয়া হয় আগামীকাল সেগুলি গ্রামের যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আছেন তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিন এই ত্রাণ সামগ্রিক দিতে এসে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গতকালের স্পিড বোড উল্টে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন:- যে, ওই স্পিডবোডে পাঁচ থেকে ৮ জনের বেশি চাপা যায় না সেখানে কিভাবে ১০জনের বেশি চাপলেন সেটা আমার জানা নেই, তাদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়া উচিত
বন্যা পরিদর্শনে লাভপুরে স্পিড বোট জলে উল্টে গেল
লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের সমগ্র এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে গিয়ে স্পিড বোডে করে সমগ্র ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সহ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন জেলা শাসক, বিধায়ক, রাজ্য সভার সাংসদ, বোলপুরের সাংসদ সহ অন্যান্যরা। সেই স্পিড বোড টি বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর সন্ধ্যায় নামতেই হঠাৎ স্থানীয় দের থেকে খবর ওটা আছে। যে বোডে করে তার এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন সেই বোড টি উল্টে যায় এবং যারা ছিলেন বডে তারা সবাই ডুবে যায়, তারপরে স্থানীয়দের তৎপরতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
বন্যার কবলে লাভপুরের ঠিবা, প্রশাসনের তৎপরতা
এলাকাগুলিতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার পরিবেশ আর প্রবল বর্ষণের জেরেই বিভিন্ন জলধারা থেকে ছাড়া হচ্ছে জল আর যার ফলে লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের কাঁদরকূলা, বলরামপুর ইতিমধ্যেই বন্যা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। আর এই সমস্ত এলাকা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন জেলাশাসক বিধানরায়, SDPO রিকি আগরওয়াল,BDO শিশুতোষ প্রামাণিক, বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা।এরই পাশাপাশি গ্রামবাসী যারা আছেন তাদেরকে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক আধিকারিকরা গ্রাম থেকে বের করে নিয়ে আসছেন
প্রবল বর্ষণের জেরে নানুরের চারকলগ্ৰামে বাড়ি ভেঙে বাড়ির দেওয়াল
লাগাতার বর্ষণের জেরে এবার ভেঙে পড়লো মাটির দোতলা বশত বাড়ি, গতকাল রাত্রি নাগাদ নানুরের চারকলগ্রাম অঞ্চলের মুরুন্দী গ্রামের ঘটনায় আহত শিশুসহ জনা চারেক। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য কোলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে, বাকিদের চিকিৎসা চলছে বোলপুর মহাকুমা হাসপাতালে। এদিকে আজ সোমবার ঘটনার খবর পেতেই এদিন দুপুর নাগাদ সংশ্লিষ্ট গ্রামে পৌঁছে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি,নানুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যান্য রা।
লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের কাঁদরকুলা গ্ৰাম যাওয়ার রাস্তা ডুবে গেল
ফের বন্যাশঙ্কা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে, আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন লাভপুরের কুয়ে অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই স্থলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কীর্ণাহার ও ঠিবা অঞ্চলের মূল অংশের। নদীকুল ছাপিয়ে কার্যত জল বইছে বাঁধের কিনারায় কিনারায়। স্বভাবতই আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। সব থেকে শোচনীয় অবস্থা কাঁন্দরকুলা গ্রামবাসীদের।কারণ এই গ্রামটি সম্পূর্ণরূপে নদীবাঁধ দ্বারা বেষ্টিত আর তাই এখানে বাঁধ ভাঙলে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে গ্রামটির একাকংশ, অতীতে যা ঘটেছে বারবার।