নদীয়া অনুপ কুমার দাস *অভিযোগ একই ব্যক্তি দুই দেশের নাগরিক,নিচ্ছে দুই দেশের সুযোগ সুবিধা চাকরি থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, তাদের ছেলেমেয়ে দুই দেশেই স্কুলে ভর্তি বর্তমানে বাংলাদেশে ছেলে মেয়ে দুইজন,থানায় অভিযোগ করে বিচার পায়নি দাবি সংসারে সদ্য বিবাহিত হয়ে সংসারে সব জানতে পেরে গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেয়,সেই গৃহবধূ এখন তত্ব দিয়ে অভিযোগ,বিজেপি এই নিয়ে তীব্র নিন্দা করে,তৃণমূল এর পক্ষ থেকে বলে প্রমাণিত হলে শাস্তি হওয়া দরকার। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ায় একই ব্যক্তি দুই দেশের নাগরিক। এক দেশে স্কুল শিক্ষিকা তো অন্য দেশে লক্ষ্মীর ভান্ডার রেশন সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন।এমনকি ভোটের সময় এক দেশ থেকে পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে এসে ভোট দিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্ধা এবং বগুলার গৃহবধুর। গৃহবধূর বাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া নাঘাটা এলাকায় । বছরখানেক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হয় বগুলার কলেজ পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে । বিশ্বজিৎ বিশ্বাস কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মী বলে দাবি করেন গৃহবধূ ۔ বিয়ের পর সংসার সুখেই চলছিল হঠাৎ গৃহবধূর সন্দেহ হয়,তার স্বামী গোপনে কি জেন ওষুধ খান । ওই গৃহবধূ গোপনে ব্যাগ থেকে সেই ওষুধ সংগ্রহ করে চিকিৎসককে দেখালে চিকিৎসক জানান তার স্বামী কঠিন রোগে আক্রান্ত । এরপর পরিবারের লোকজন জামাইকে কলকাতার একটি দামি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান,এই ঘটনার পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । এক সময় গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এমনকি বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় । এরপর গৃহবধূ মৌসুমী বিশ্বাস তিনি সমস্ত ঘটনা হাঁসখালি থানায় লিখিতভাবে জমা দেন । সেই খানে তার শশুর সুনীল বিশ্বাস বাংলাদেশী বলে অভিযোগ দায়ের করেন । এমনকি গৃহবধূর গুরুতর অভিযোগ তার স্বামীরা দুই ভাই, দুই ভাই সরকারি চাকরি করেন এমনকি একটি ননদ আছে ননদের নাম শিউলি বিশ্বাস ও তার স্বামী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস দুজনেই বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ ওড়াকান্দির বাসিন্দা । পেশায় দুজনই শিক্ষকতা করেন তাদের দুটি সন্তান আছে । তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন গৃহবধূ তার ননদ এবং নন্দাই দুজনে বাংলাদেশের স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি করছেন সেখানকার ভোটার।আবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার বগুলার তাদের ভোটার লিস্টের নাম রয়েছে । গৃহবধূর অভিযোগ ননদ এর স্বামী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসকে বাবা পাতিয়ে ভোটার লিস্টে, আধার কার্ডে , প্যান কার্ডে এমনকি রেশন কার্ডেও নাম তুলেছে । এমনকি তার ননদ শিউলি বিশ্বাস লক্ষ্মীর ভান্ডার ,রেশন সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন । এমনকি ননদের দুই সন্তানকে গাড়াপোতার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা আছে । প্রতিবছর এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উঠে যাচ্ছে বহাল তবিতাতে, অথচ তারা বসবাস করে বাংলাদেশে, পড়াশোনা করো বাংলাদেশে । গৃহবধূর অভিযোগ এসআইয়েরে আবহে গৃহবধূর শ্বশুর সুনীল বিশ্বাস মেডিকেল ভিসা করে বাংলাদেশ থেকে এদেশে রয়েছে । এ ব্যাপারে গৃহবধুর শাশুড়ি জবা রানী বিশ্বাসের আছে জানতে চাইলে তিনি গৃহবধুর কথা অস্বীকার করেন এমনকি তার যে মেয়ে বাংলাদেশে থাকে সেটাও তিনি অস্বীকার করেন । সত্যি ঢাকতে তিনি বলেন তার দুই ছেলে কোন মেয়ে নেই । অথচ প্রতিবেশীরাও বলছেন তার দুই ছেলে এক মেয়ে । এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতা অনুপ দাস বলেন এটা অপরাধ একই ব্যক্তি দুই দেশে বসবাস করছে, দুই দেশের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে এটা ঘোরতর অন্যায় । প্রশাসন নিশ্চয়ই এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে । এ ব্যাপারে বিজেপির জেলার নেতা অমিত প্রামানিক বলেন আমরা যে আশঙ্কা করছিলাম সেটাই সত্য প্রমাণ হল । এই জন্যই তো এস আই আর এর প্রয়োজন । জাল ভোটার কার্ড, জাল আধার কার্ড, জাল পাসপোর্ট , পাশাপাশি অন্য দেশে বাস করে টাকা দিয়ে স্কুলের শিক্ষককে কিনে একের পর ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন । কারণ দুই দেশের নাগরিক রয়েছে দুই দেশের সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে । এর জন্য দায়ী সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার । তিনি বলেন অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে । পাশাপাশি তিনি আক্ষেপের শুরে বলেন গৃহবধূ পুলিশকে লিখিতভাবে সমস্ত ঘটনা জানানো সত্যেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কারণ শাসকদলের মদতে এরা এই সমস্ত কাজ করে চলেছে । যার জন্য পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না । এই বিষয়ে প্রশাসনের কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি SIR এর আবহে।