আরামবাগ: ০৯ ডিসেম্বর ------------------------------------------------------------------------ কাজে গতি ফেরাতে, অফিজে কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে এবার অত্যন্ত তৎপর হুগলি জেলা শাসক। আর তাই হুগলি জেলা শাসক পদে বসতে না বসতেই ইতিমধ্যে কয়েকবার আরামবাগ মহকুমায় এসে উন্নয়নের খতিয়ান দেখতে ব্লকে ব্লকে ঘুরলেন। বিশেষত খানাখুলে গিয়ে কয়েকটি কাজ খতিয়ে দেখলেন।পরে আরামবাগ এস ডি ও অফিসে এসে জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠকও করলেন জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি।আর এই অতিবৎতরতার কাটাখ্যাত করেছে বিজেপি, তাদের প্রশ্ন, উন্নয়ন দেখতে নাকি তৃণমূলের সংগঠন কে চাঙ্গা করতে ময়দানে ডিএম কেই কাজে লাগানো হচ্ছে।জা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে আরামবাগে। উল্লেখ্য যে,এই মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমা পুরোটাই বিজেপির দখলে।চার বিধানসভা বিজেপির দখলে।সংগঠনিক ভাবে এই মহকুমায় তৃণমূল বেশ দুর্বল ও পিছিয়ে আছে।তাই সেরকম ভাবে বিধায়ক তহবিলের অর্থও খরচ করতেই পারেন নি বিজেপির বিধায়করা।রাজনৈতিক কারণেই হোক আর প্রশাসনিক কারণেই হোক এলাকার উন্নয়নে একেবারেই.brাত্য হয়ে গেছে আরামবাগ মহকুমা।আর সেই অবস্থা থেকে ফেরাতে ও জনগণের কাছে শাসক দলের আস্থা আরোও বেশি অর্জন করতে এবার তাই প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি দের ময়দানে নামাতে শুরু করে দিল শাসক দলের নেতৃত্ব।সরাসরি তারা ময়দানে না নামলেও এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরের আমলা ও আধিকারিক দের।আর তাই হুগলি জেলা শাসক স্বয়ং এই দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর আগেও ডি এম নভেম্বরে এসেছিলেন আরামবাগে।তখনও কাজে গতি আনতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।আর এর পর ফের ডিসেম্বরে এলেন। নিজের চোখে সেই সমস্ত কাজ সরজেমিনে খতিয়ে দেখলেন।খানাখুলের উল্লেখ যোগ্য কাজের মধ্যে খানাখুল ২ নং ব্লকের শশাখালি এলাকার স্লুইস গেট ও.এই এলাকার সেতুর কাজ তিনি দেখলেন। সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার দের সাথে কথাও বললেন।আরোও দ্রুত ও মজবুত ভাবে যাতে কাজ হয় তার নির্দেশ দেন জেলা শাসক। এর পরেই আরোও কিছু টা দূরে খানাখুল ১ নং ব্লকের মধ্যে হওয়া অরোরা খালের কাজ কেমন হচ্ছে তাও দেখলেন।দুটো কাজেই সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বার্তা দেন যাতে খুব ভালো ভাবে কাজ হয়।মানুষের জন্য কাজের কোন খুঁত না থাকে। এমনটাই বার্তা দিলেন এদিন।সোমবার কাজের প্রথম দিনই তিনি সোজা চলে আসেন আরামবাগ মহকুমায়।মূলতঃ সরকারি ভিজিটের নামে তদারকি করলেও এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা।আর সেই অবস্থা থেকে সংগঠন কে চাঙ্গা করতে একমাত্র কাজের দাওয়াই কেই মাধ্যমে করছে শাসক।প্রশ্ন উঠেছে যে,গত পাঁচ বছর কেনো এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।একেবারে পাঁচ বছর শেষের প্রাক্কালে ঘুম ভেঙেছে প্রশাসনের। তাদের কে হাতিয়ার করে এবার ময়দানে খেলতে চাইছে সরকার। সোমবার আরামবাগ এস ডিও অফিসে বৈঠকের পর জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, দেখুন, আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়া ও আরামবাগ পুরোটাই বন্যা কবলিত। তাই বর্ষা আসার আগে ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার রূপ রেখা তৈরি করা, এলাকায় কি কি ধরনের সমস্যা আছে তা জানা, গত বারের বন্যার অভিজ্ঞতা থেকে এবারে নতুন কিছু পরিকল্পনা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। মূলত উন্নয়নের মাপকাঠি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে সেই পর্যবেক্ষণ করা হয় এদিন। তবে ব্লক স্তরের আধিকারিক দের সাথে এস ডিও কেও বলা হয়েছে যাতে তিনিএই সব মনিটারিং যেন করেন। বালি ও মাটি পাচারের বিষয়েও নানান অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রশ্নে জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, আমি এর আগেও অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেখানে একটি বিশেষ টিম পাঠিয়ে রিপোর্ট নিয়েছি। এর পরেও এস ডিও ও কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এই ধরনের অভিযোগ তিনি নিজে মনিটারিং করেন। মূলতঃ শাসন দলকে চাঙ্গা করতেই আমলাদের এই দৃঢ় পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিন এই ভিজিটে ডিএম ছাড়াও ছিলেন, এডি এম (জেড পি), এস, ডিও, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, হুগলি জেলা পরিষদের কো মেন্টর সেখ হায়দর আলি সহ একাধিক জন। বিষযটি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, আর কত নাটক দেখবো এই রাজ্যে। আরামবাগ হাত ছাড়া হয়ে গেছে। মানুষ ওদের আর মান্যতা দিচ্ছে না। উন্নয়ন নেই। Cut মানি খেয়ে খেয়ে পেটে ভরা হয়ে গেছে। সংগঠন ধুলো ভাঙা হয়ে গেছে। চার বিধানসভাতেই ওদের ছুঁড়ে ফেলেছে মানুষ। তৃণমূল জেনে গেছে, আর কোন উপায় নেই। তাই এবার ডি এম, এস পি, এস ডিও এদের কাজে লাগাতে পদ্ধতি নিয়েছে তৃণমূল। এটা প্রকাশ্যেই এসে গেছে। আমলা দের দিয়ে সংগঠন চাঙ্গা করতে চাইছে তৃণমূল। তলানি তে ঠেকে যাওয়া সংগঠন আর যাই করুক না কেনো আর চাঙ্গা হবে না। ফিরবেও না। কারণ জনগণই আর ওদের সাথে নেই। এই নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কো মেন্টর সেখ হায়দর আলি বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মুখ্যমন্ত্রী তথা জন দরদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা টা বছরই মানুষের পাশে আছেন। উন্নয়ন কিভাবে করাতে হয় সেটা তিনি ভালোভাবে জানেন। আর বিজেপি জানে কিভাবে সব কিছু ধ্বংস করতে হয়। ওরা যা খুশি করুক এই বাংলায় বা এই আরামবাগে কোন দিনই বিজেপি আসতেই পারবে না। স্লাগ--- 0912ZG_ARM_DM_BJP_R