मेदिनीपुर अस्पताल परिसर से आवारा कुत्ते हटाने के निर्देश लागू

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ব্বর থেকে সরাতে হবে পথ কুকুরদেরকে, এমনই একটা নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি মেদিনীপুর জেলা আদালত চত্বর থেকে পথ কুকুরদের সরিয়ে ফেলতে হবে, বিচারকদের পক্ষ থেকেও একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা কে। দুটি নোটিশ পেয়ে চিন্তায় পড়েছে পৌরসভার আধিকারিকরা। নোটিশ নিয়ে সরব হয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো। পথ কুকুর সরাতে এলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মেডিকেল কলেজের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেছেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ পৌর আধিকারিকদের সঙ্গে। কিভাবে হাসপাতাল চত্বর কুকুর মুক্ত করা সম্ভব হবে সেই নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহরে পথ কুকুরদের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আকছার দেখা যায় পথ কুকুরদের আনাগোনা করতে। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে তো বটেই এমনকি হাসপাতালের ভেতরেও দেখা মেলে পথ কুকুর এবং বিড়ালদের। রোগীর আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায় কুকুর বিড়ালদেরকে। যাকে বলা যায় সহবস্থান করতে। বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী এবং রোগীর আত্মীয় পরিজনদেরকে। একই রকম চিত্র দেখতে পাওয়া যায় মেদিনীপুর জেলা আদালত চত্বরেও। সেখানেও বহু মানুষ আসেন মোকদ্দমার কাজে। কামড়ানোর ভয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় তাদেরকে। এই দুই জায়গা থেকে পথ কুকুরদেরকে সরিয়ে ফেলতে হবে এমনই পৃথকভাবে দুটি নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে মেদিনীপুর পৌরসভায়। গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুর পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। পথ কুকুর একটা বড় সমস্যা মানছেন মেডিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।তার বক্তব্য আমাদের সমাজে পোষ্য হিসেবে কুকুরের একটা জায়গা আছে, স্বভাবতই সেটাকে মাথায় রেখে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়েই যা করার করতে হবে। পশুপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিবু রানা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম একটা আশ্রয়স্থল। যে রোগগ্রস্ত কুকুর গুলি আছে তাদের কে সেখানে রেখে চিকিৎসা করার জন্য। কিন্তু যে কুকুররা সুস্থ তাদের কেনো সরাতে হবে। গত ১০ বছরের ইতিহাসে ওই দুই এলাকায় কোনো কুকুর কামড়ানোর রেকর্ড নেই। তাছাড়া আমরা নিজ উদ্যোগে həmin কুকুরদের ভ্যাকসিনেশন পর্যন্ত করেছি। যারা কুকুর পছন্দ করেননা তারাই এই সিদ্ধান্ত গুলো নিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কুকুর সরানো নয়, প্রয়োজন তাদের নির্বিজকরণ করা।যাতে কুকুরের সংখ্যা কমে। যদি কুকুর সরাতে আসে তাহলে আমরা বিরোধিতা করব এবং আন্দোলনে নামব। মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মৌ রায় বলেন, নির্দেশ যখন এসেছে তখন সেই নির্দেশ আমাদের পালন করতে হবে। পশুপ্রেমী সংগঠনসহ সমগ্র মেদিনীপুরবাসী কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন নির্দেশিকা পেয়েছি। কিভাবে কি পদ্ধতি তে কাজটা করা যায় সেটা এখন আলোচনা স্তরে রয়েছে।