धूपगुड़ी के शालबाड़ी कोल्ड स्टोरेज में सहकर्मी का हमला, हत्या की कोशिश का मामला सामने

ধূপগুড়িতে হিমঘরের কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা — সহকর্মীর বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। ঘটনায় গ্রেপ্তার এক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়ির শালবাড়ি কোল্ড স্টোরেজে। অভিযোগ, এক হিমঘর কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তারই সহকর্মী। ঘটনায় জখম কর্মীকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, আহত কর্মীর নাম উপেন বর্মণ, বাড়ি কোচবিহার জেলার জোড়শীমলিতে। শুক্রবার দুপুরে শালবাড়ি কোল্ড স্টোরেজে তাঁর সহকর্মী অভিষেক গুপ্তা-র সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে বচসা বাধে। এরপর রাতে সেই ঘটনার রেশ ধরেই নাকি অভিষেক কয়েকজনকে নিয়ে হিমঘরে ঢোকে এবং উপেন বর্মণকে তাঁর কোয়ার্টার থেকে টেনে বার করে লাঠি-সোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। উপেনের আর্তচিৎকার শুনে পাশের কোয়ার্টারের এক কর্মী সাহায্যের জন্য ছুটে এলে, তাকেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় উপেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে উপেনের পরিবার—স্ত্রী ও আত্মীয়রা—ছুটে আসেন Shালবাড়ি কোল্ড স্টোরেজে। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটলেও হিমঘর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে উপেনের স্ত্রী ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে উপেন বর্মণ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। উপেনের পরিবারের দাবি — এটা পরিকল্পিত হামলা। দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।” এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ঘটনায় কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কিছু অভ্যন্তরীণ বিবাদ চলছিল, কিন্তু প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি এই চরমে পৌঁছেছে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে, আর আহত উপেনের পরিবারের দাবি — “এই ঘটনায় যেন ন্যায়বিচার হয়, সেটাই এখন আমাদের একমাত্র আশা।”