হাসপাতাল গুলির ফায়ার সেফটি সিস্টেম ঢিলেঢালা নয় তো ? আদৌও কাজ করে তো হাসপাতাল গুলির ফায়ার সেফটি সিস্টেম? হাসপাতালের ফায়ার সেফটি কমিটি কি নিষ্ক্রিয় রয়েছে? তাদের দয়া এক্টিভেট করুন। এমনই ভাবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল গুলিকে কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের।স্বাস্থ্য সচিব এর তরফ থেকে ৮ দফা ফ্যাক্ট চেকের নির্দেশ,সরকারি হাসপাতাল গুলিকে। ১০ ই নভেম্বরের মধ্যে,ফায়ার অডিট সেরে ফেলতে হবে,২১ নভেম্বরের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলির নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপের পর এবার ফায়ার অডিট এর নির্দেশ। স্বাস্থ্য দফতরের সন্দেহ,হাসপাতালে ফায়ার সেফটি কমিটি থাকলে,কোথাও না কোথাও, অগ্নি নির্বাপণ ব্যাবস্থা ঢিলে ঢালা মনোভাব রয়েছে। বড় ধরনের বিপর্যয় যাতে না ঘটে যায়। তবে এবার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল কে নির্দেশ অবিলম্বে ফায়ার সেফটি কমিটি কে activate করুন। চলতি বছরে কয়েকমাস আগেই উত্তর ২৪ perগনার একাধিক হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বেহাল চিত্র,ফুটে উঠেছিল।এবার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল কে নির্দেশ,হাসপাতালের ফায়ার সেফটি সিস্টেম এর অবস্থা কেমন অবস্থায় রয়েছে ,আগামী ১০ই নভেম্বর এর মধ্যে ফায়ার অডিট এর কাজ সেরে ফেলতে হবে।এরপর সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে আগামী ২১ নভেম্বর এর মধ্যে。 প্রথম তিনটি কাজ হাসপাতাল এর ফায়ার সেফটি কমিটিকে করতে হবে। ১. দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতি ১৫ দিন অন্তর হাসপাতালে পরিদর্শন করতে হবে। ২. অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। ৩.হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে আগুন লাগলে মোকাবিলার ব্যবস্থাগুলি ঠিকঠাক আছে কি না যাচাই করে দেখতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল গুলিকে ৮ বিষয়ে নজর দিতে ১.হাসপাতালের স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে নিয়ম করে ফায়ার ড্রিল করতে হবে। ২. ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটগুলি ঠিক আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ৩.হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় দাহ্য পদার্থগুলিকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ব্যবস্থাগুলি চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে কর্মীদের। ৫.স্মোক অ্যালার্ম, স্প্রিঙ্কলার, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৬. আগুন লাগালে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, সাক্ষাৎপ্রার্থীদের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৭. বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। আগুন লাগলে পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো হবে, তার নিয়মিত মহড়া চালিয়ে যেতে হবে। ৮.আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থা বসানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে।